কলকাতার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী । শিগগিরই আসছে ঋতাভরীর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ফাটাফাটি’। এতে তার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। তাই আপাতত সিনেমার প্রচারের জন্য দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই কাটছে ঋতাভরী চক্রবর্তীর সময়।
নিজের আসন্ন চলচ্চিত্র নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বলেন নায়িকা। সিনেমাটির জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিশ্রমও করতে হয়েছে অনেক। ওজন বাড়ানোর বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওজন বাড়ানো বিষয়টাও কিন্তু সোজা নয়। বেশ সমস্যা হয়েছে।
ওটা অনেকের হয়তো স্বভাবিক ওজন, তবে আমার কিন্তু নয়। যেমন আমার পরিবারে আমার মাসিরই থাইরয়েডের সমস্যার কারণে অনেক ওজন, আমার মাসতুতো দিদিরও ওজন বেশি। তবে ঋতাভরীর তো কখনো সেটা ছিল না। আমার তাই শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, এনার্জি লেবেল পড়ে গিয়েছিল, তারপর সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, মাটিতে বসলে ওঠা, খুব সমস্যা হতো। তবে ওজন না বাড়ালে আবার চরিত্রটা ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না। ওজন বেশি যাদের, তাদের হাঁটাচলা, ওঠাবসা সবই একটু আলাদা হয়। তাই এটা আমায় করতেই হতো। কারণ অভিনেত্রী হিসেবে শরীরটা আমার কাছে একটা যন্ত্র, সেটা ফুল্লরার জন্য ব্যবহার করতে পেরেছি, আমি খুশি।’
অভিনেত্রী আরো বলেন, “অস্ত্রোপচারের ফলে আমার পাঁচ-ছয় কেজি ওজন তো বেড়েই ছিল। এটা সবাই জানে। তারপর ‘ফাটাফাটি’ করার জন্য আরো ১৯ কেজি বাড়াই। মোট ২০ কেজি বাড়াতে চেয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ২৫ কেজি। ভাবতে পারছ! এগুলো তো ছিলই, তার ওপর চরিত্রের মতো করে তৈরির করার একটা বিষয় ছিল। আমি ছোট থেকেই খুব আত্মবিশ্বাস নিয়েই বড় হয়েছি।
কিন্তু সিনেমার চরিত্র ফুল্লরার ক্ষেত্রে সেটা নয়। মুটকি, ঢেপসি, হাতি, এসব শব্দ শুনে বড় হয়েছে ফুল্লরা। তাই ওর এত আত্মবিশ্বাস নেই। পরে ধীরে ধীরে ও কিভাবে নিজেকে তৈরি করেছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, সেটা এই সিনেমায় রয়েছে। আমাকেও ওই চরিত্রের মধ্যে ঢুকেই সে সময়টা কাটাতে হয়েছে। পুরোপুরি নিজেকে চরিত্রের জন্য তৈরি করতে হয়েছে।”
আগামী ১২ মে মুক্তি পাচ্ছে ঋতাভরী-আবির জুটির ‘ফাটাফাটি’। এতে আরো অভিনয় করেছেন সোমা চক্রবর্তী, স্বস্তিকা দত্ত। এটি পরিচালনা করেছেন অরিত্র মুখোপাধ্যায়।